Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st ডিসেম্বর ২০২২

প্রশাসন, মানবসম্পদ ও অর্থ

                      মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন

মানবসম্পদ হচ্ছে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। দুর্নীতি দমন কমিশন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, তাদের সক্ষমতার উন্নয়ন, কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নৈতিকতার কালোত্তীর্ণ মানদন্ড রক্ষার সকল কার্যক্রম প্রশাসন অনুবিভাগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করে থাকে। কমিশন তার মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কমিশন মনে করে কর্মকর্তাদের দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা, মননশীলতা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা উন্নয়নে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে সাইবার ক্রাইম, অর্থ পাচারসহ নতুন নতুন দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধ দমনে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কারণ সময়ের সাথে সাথে দুর্নীতির প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি দমন কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদি যে কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে তার আলোকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং এর উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবেই বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

কমিশনের মানব ও আর্থিক সম্পদ ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে প্রশাসন অনুবিভাগ দু’টি শাখায় বিভক্ত-

  • প্রশাসন ও সংস্থাপন এবং
  • অর্থ ও হিসাব

প্রশাসন, সংস্থাপন এবং অর্থ অনুবিভাগের আওতাধীন বিষয়সমূহ হচ্ছেঃ

১। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন, প্রেষণ ও ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা;

২। আইন অনুযায়ী দুদক কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাদের চাকুরির অবস্থা ও অন্যান্য বিষয়;

৩। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারী মনোনয়ন প্রস্তাব পেশ,

৪। কমিশনের বৈঠকের প্রাক্কালে কমিশনের সচিবকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান;

৫। অধীন কার্যালয়সমূহ বছরে কমপক্ষে দু’বার পরিদর্শন করা এবং কমিশন সচিবের নিকট প্রতিবেদন পেশ;

৬। কমিশনের সার্বিক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করা, গুদাম, আসবাবপত্র ও অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ ও সরবরাহ;

৭। কমিশনের সকল শাখার জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সরবরাহ;

৮। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তবায়্ন;

৯। কমিশন কার্যালয়ের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন ইত্যাদি;

 

প্রশাসন অনুবিভাগের পদক্ষেপ:

১। বিদ্যামান সাংগঠনিক কাঠামো যুগোপযোগী করণ

২। নতুন জনবল নিয়োগ

৩। প্রশিক্ষণ

৪। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার

            (ক) দুদক অভিযোগ কেন্দ্র (হটলাইন ১০৬)

            (খ) ই-নথি চালু

            (গ) ই-জিপির মাধ্যমে ক্রয়

            (ঘ) ই-রিক্রুটমেন্ট

 ৫। সশস্ত্র ইউনিট

৬। হাজতখানা স্থাপন

৭। আর্কাইভ তৈরি

৮। রেকর্ড রুম স্থাপন

৯। ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গঠন/কর্মবন্টন নির্দেশিকা প্রণয়ন

১০।IPMS software চালুকরণ

১১। বিভিন্ন নীতিমালা,আইন যুগোপযোগীকরণ

১২।ফরেনসিক ল্যাব চালুকরণ

 

সদর দপ্তর মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে মানবসম্পদ বন্টন

কমিশনের বিদ্যমান জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রধান কার্যালয়, ৮টি বিভাগীয় কার্যালয় এবং ৩৬ টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর (সুপার নিউমারারি পদসহ ২১৪৬ জন) জন্য সরকার অনুমোদিত একটি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে, দুদকের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয়র ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মানব সম্পদ বন্টন তালিকা নিচের তালিকাতে দেখানো হয়েছে।

দুদকের বর্তমান মানব সম্পদ (সুপার নিউমারারি পদসহ)

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (২০৯৮+৪৮)=২১৪৬ জনবলের বিবরণ

 

ক্রঃ নং

পদবী

প্রধান কার্যালয়

বিভাগীয় কার্যালয়

সমন্বিত জেলা কার্যালয়

      সর্বমোট

মন্তব্য

 

 

(জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নয়)

কর্মরত

শূন্য

কর্মরত

শূন্য

কর্মরত

শূন্য

 কর্মরত

শূন্য

 

 

সচিব

 

     ১

 

 

 

মহাপরিচালক

 

 

 

 

 

পরিচালক

২২

৭              

৩০

 

 

সিস্টেম এনালিস্ট

 

 

একান্ত সচিব (চেয়ারম্যান ও কমিশনার)

 

 

একান্ত সচিব (কমিশনের সচিবের)

 

 

উপপরিচালক

৮৮

৫৯

৩৬

১২৬

৬৫

 

 

প্রোগ্রামার/সঃসিঃ এনালিস্ট

 

 

প্রসিকিউটর

১০

১০

 

 

১০

মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার

 

 

১১

সহকারী পরিচালক

৮৩

১৩২

১০৫

১৯৫

১৩৬

 

 

১২

সহকারী প্রোগ্রামার

 

 

১৩

মেডিকেল অফিসার

 

 

১৪

সহকারী মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার

 

 

১৫

সহকারী পরিচালক (তথ্য ও যোগাযোগ)/জনসংযোগ কর্মকর্তা

  ১

 

 

১৬

প্রোটোকল অফিসার

 

 

 

১৭

সহকারী পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল)

 

 

১৮

প্রথম শ্রেণি : মোট =

২১৪

২২০

১৭

১৪১

৩৭২

২৩০

 

 

১৯

উপসহকারী পরিচালক

৪৪

১৬১

১২২

২২

১৭৪

১৮৩

 

 

২০

কোর্ট পরিদর্শক

৩৬

৩৭

 

 

২১

প্রশাসনিক কর্মকর্তা

 

 

২২

২৩

পরিবহন কর্মকর্তা

 

২৪

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা

 

২৫

দ্বিতীয় শ্রেণি : মোট =

৫০

১৬৯

১২৮

৫২

১৮৬

২২১

 

২৬

কম্পিউটার অপারেটর

-

-

 

২৭

নার্স

-

-

 

২৮

ফার্মাসিস্ট

-

-

 

২৯

প্রধান সহকারী

২৫

৩০

 

৩০

সহকারী পরিদর্শক

৫৮

১৪

৬৩

১৪

 

৩১

হিসাব রক্ষক

 

৩২

সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপাঃ

১০

১০

 

৩৩

লাইব্রেরীয়ান/

ক্যাটালগার

 

৩৪

সাটঁমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিঃ অপাঃ

 

 

১৮

১০

২৩

১৩

 

 

 

 

 

 

 

৩৫

উচ্চমান সহকারী/সহকারী

৩৮

১১

৩০

৭৬

১৭

 

৩৬

কোর্ট সহকারী (এএসআই)

৩৭

-১৭

৫৩

১৯

৯০

 

৩৭

ক্যাশিয়ার

 

৩৮

ডাটা এন্ট্রি/ কন্ট্রোল অপারেটর

৫৭

৭৬

৩৫

৯৬

 ৮১

 

৩৯

অভ্যর্থনাকারী কাম টেলিফোন অপারেটর

 

৪০

ড্রাইভার

৩৬

৪১

৩৬

৩৬

৮০

৭৭

 

৪১

 

স্বাস্থ্য সহকারী

 

 

 

 

৪২

তৃতীয় শ্রেণি : মোট =

২৩৩

১৩৫

৩৬

১২

২১২

৭৬

৪৮১

২২৩

 

৪৩

ডেসপাচ রাইডার

 

৪৪

কনস্টেবল

৪৪

৩৯

৪৯

১৩১

১০০

১৭৯

৪৭টি পদ সুপার নিউমারারি

৪৫

ড্রাইভার কনস্টেবল*

সুপার নিউমারারী পদ

৪৬

নিরাপত্তারক্ষী

১৩

১৭

 

৪৭

দপ্তরী*

সুপার নিউমারারি পদ

৪৮

অফিস সহায়ক

৪২

১০

৫০

১০

 

৪৯

যানবাহন ক্লিনার

 

৫০

ক্লিনার

 

১১

৩৬

৫৫

 

৫১

গার্ড

 

৫২

চতুর্থ শ্রেণি : মোট =

১০৪

৭৩

১৯

২১

৪৯

১৬৭

১৭২

২৬১

সুপার নিউমারারি শূন্য পদ ৪৭টি

৫৩

সর্বমোট =

৬০১

৫৯৭

৮০

৪০

৫৩০

২৯৮

১২১১

৯৩৫

 

 

 

কমিশনের সার্বিক প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম কমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিয়োগ, বদলি, তাদের কল্যাণ এবং চাকুরিবিধি মোতাবেক নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য আনুসাংঙ্গিক কাজ এই অনুবিভাগের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে গৃহীত পদক্ষেপ

দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র হ্রাস, কর্মসংস্থান এবং নৈতিকতার বিকাশে প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি, যা’ রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি জনআস্থা কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এক্ষেত্রে বড় অর্জন হলো গ্রাম ও শহরের সুষম উন্নয়ন। তবে এই উন্নয়নের অন্যতম চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি নামক ফৌজদারি অপরাধ।

তাই কমিশনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, কার্যকর এবং দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে, কমিশন নিজস্ব জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছে। ২০২২ সালে কমিশনের কর্মপরিবেশের আধুনিকায়নের পাশাপাশি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

  • ক) কার্যকরভাবে দুর্নীতির অনুসন্ধান, তদন্ত এবং প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ২৫৩ জন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট ১৬৩ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পদোন্নতি প্রদান করেছে। নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং কর্মকালীন প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
  • খ) ‘Investigation and Prosecution Management System (IPMS) সফট্‌ওয়্যারের ওপর ৬৮২ জন দুদক কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সফট্ওয়্যারভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

 

(গ) কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্তের কাজে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে সহজেই তথ্য প্রাপ্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত নিজস্ব ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব পরিচালনার জন্য মনোনীত কর্মকর্তাদের ০৫টি সফটওয়্যার ট্যুলসের ওপর দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

 

(ঘ) কমিশনের নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনু্বিভাগ কর্তৃক ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে (ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ) ৭৯ জন, সুশাসন ও অফিস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে ৮৮ জন, ibas++এ উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন বিষয়ে ২ জন, Trade Finance Process and Trade Based Money Laundering শীর্ষক প্রশিক্ষণে ১২ জন, দুদক হট লাইন ১০৬ এ দায়িত্বপালন সংক্রান্ত বিষয়ে ৩৫ জন, e-GP System Policy Level কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে ৫ জন, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের ১০ জন, Short Procurement Training: Orientation of Anticorruption officials শীর্ষক প্রশিক্ষণে ১৫০ জন, Training on Financial Accounting Course শীর্ষক প্রশিক্ষণে ৩০ জন, ক্যাপিটাল মার্কেট ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক প্রশিক্ষণে ৮৪ জন, ৫৮ তম সিনিয়র সিকিউরিটি কোর্সে ১০ জন, শুদ্ধাচার ও সুশাসন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ৩৯ জন, ব্যাংক কার্যক্রমের উপর ২৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

(ঙ) কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত এবং প্রতিরোধমূলক কাজে পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং কার্যকর দুর্নীতি বিরোধী নীতি, কৌশল চর্চা বিষয়ে ৪২ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে;

দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জনগণ যাতে সহজে দাখিল করতে পারে সেজন্য ৩৬ টি সজেকা ছাড়াও দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘‘অভিযোগ গ্রহণ বাক্স’’ স্থাপন করা হয়েছে।

 কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আগত দর্শনার্থী ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে দর্শনার্থী কার্ড চালু এবং প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যমের কর্মীদের সুবিধার্থে ইন্টারনেট সংযোগসহ রঙ্গীন টেলিভিশন প্রদান করা হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায় চলমান প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

দুর্নীতি দমন কমিশন শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্প জুলাই, ২০১৮ হতে ডিসেম্বর, ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৩৭%। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য (ক) দুদক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও (খ) দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং সততা সংঘের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি খাতের দুর্নীতি হ্রাস এবং (গ) দুদকের কার্যক্রম সহজ ও গতিশীল করার নিমিত্ত সকল কার্যালয় অটোমেশন করা।

কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটের কার্যক্রম:

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কার্যকরভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের নিমিত্ত কমিশনের নিয়মিত অনুসন্ধান ও তদন্তের পাশাপাশি সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, প্রাপ্ত তথ্যের সঠিকতা নিরূপণ করে তা বিশ্লেষণপূর্বক উপস্থাপন করা এ ইউনিটের অন্যতম কাজ। এ ইউনিটের কর্মকর্তাগণ কমিশন চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে নিজেরা বা সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এছাড়া দুদকের অভিযোগ কেন্দ্র হটলাইন নম্বর ১০৬, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিট দেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ও গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের তথ্যভা-ার হালনাগাদ করে থাকে।

কমিশনের বাজেট ব্যবস্থাপনা:

অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের বাজেটও চার্জড বাজেটের অন্তর্ভূক্ত। কমিশন বাৎসরিক যৌক্তিক চাহিদা নিরূপণ করে সরকারের নিকট বাজেট বরাদ্দ চেয়ে থাকে এবং কমিশনের চাহিদা মোতাবেক সরকারের বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থায়ন করে থাকে। সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কমিশনের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করে। বাজেট অনুমোদন হলে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল কর্তৃক দুদক হিসাব প্রাক-নিরীক্ষণ ছাড়া সরকারের কাছ থেকে কমিশনের কোনো পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় না। প্রশাসন অনুবিভাগ অর্থায়ন ও আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার কাজ তত্ত্বাবধান করে এবং সরকারি ক্রয়নীতির আওতায় ক্রয় পরিচালনা করে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কমিশনের সকল ক্রয় কার্যক্রম ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

 

২০২১-২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ (অনুন্নয়ন ও উন্নয়ন) নিম্নে দেখানো হলো:

 

২০২১-২২ অর্থবছরে দুদকের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট

 
 

অঙ্কসমূহ হাজার টাকায়

 

অর্থবছর

পরিচালন

উন্নয়ন

মোট

রাজস্ব

মূলধনী

মন্তব্য

 

২০২১-২২

১২৩৫৯৭৯

১২৮২০০

১৩৬৪১৭৯

১১৩৯৩০৫

২২৪৮৭৪

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব ও মূলধনী (উন্নয়নসহ) ব্যয়ের অর্থনৈতিক শ্রেণিকরণ

 

অঙ্কসমূহ হাজার টাকায়

 

পরিচালন

বিবরণ

২০২১-২২

 

 

আবর্তক

অর্থনৈতিক কোড ও খাত

বরাদ্দ

ব্যয়

 

 

৩১১১১০১ মূল বেতন অফিসার

১৯১০০০

১৬৭৮১১

 

 

৩১১১২০১ মূল বেতন কর্মচারী

১৫৯০০০

১৪১১৫৮

 

 

৩১১১৩০১-৩১১১৩৪৪ ভাতাদি

৩৫১৮৪৫

২৯৫৭৬৬

 

 

৩২১১ প্রশাসনিক ব্যয়

২৭২২১০

২৩৮৮৩৬

 

 

৩২৫৮ মেরামত

১৯৭৩০

১৮৮৪৪

 

 

মূলধন

৪১১২ মূলধন ব্যয়

১২২৭৭৪

১২১৪২৪

 

 

 

(ক) উপমোট

১১১৬৫৫৯

৯৮৩৮৩৯

 

 

 

বিশেষ কার্যক্রম

 

 

 

৩২ পণ্য ও সেবার ব্যবহার

১১৯৪২০

১৩৩৪২

 

 

 

৪১১২ মূলধন ব্যয়

 

 

 

 

 

(খ) উপমোট

১১৯৪২০

১৩৩৪২

 

 

 

(গ)মোট পরিচালন কার্যক্রম (ক+খ)

১২৩৫৯৭৯

৯৯৭১৮১

 

 

 

উন্নয়ন কার্যক্রম

 

 

 

 

 

প্রশাসনিক ব্যয়

২৬১০০

৯৩৫৪

 

 

 

মূলধন ব্যয়

১০২১০০

৫৮১২৩

 

 

 

(ঘ) মোট উন্নয়ন

১২৮২০০

৬৭৪৭৭

 

 

 

সর্বমোট (গ+ঘ)

১৩৬৪১৭৯

১০৬৪৬৫৮

 

 

দুদকের আভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম

দুর্নীতি দমন কমিশন আভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে দুদক বিধি ২০০৭-এর ১৯(১)-এর অধীনে কর্মকর্তাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবীক্ষণ, তত্ত্বাবধান, অনুসন্ধান, দুদক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ও বিভাগীয় পদক্ষেপ নিতে পরামর্শদানের জন্যে কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি স্থায়ী অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি রয়েছে। ২০২২ সালে এই কমিটি একাধিক বৈঠক করেছে। এছাড়া কমিশনের চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।

২০২২ সালে কমিশনের ১ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে গুরুদন্ড ও ১ জন কর্মচারীকে লঘুদন্ড প্রদান করা হয়েছে। ২০২২ সালে দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সংখ্যা এবং মামলার ফলাফল নিচে প্রদান করা হয়েছে।

২০২২ সালে দুদকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া বিভাগীয় পদক্ষেপসমূহ

বিবরণ

সংখ্যা

পূর্ববর্তী বছরের জের

১৫

২০২২ সালে গৃহীত

০৩

২০২২ সালে মোট বিভাগীয় মামলার সংখ্যা

১৮

২০২২ সালে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা

০৩

কঠোর সাজা

০১

স্বল্প মাত্রার সাজা

০১

অন্যান্যভাবে নিষ্পত্তি

০১

১. কঠোর সাজার মধ্যে রয়েছে চাকুরি থেকে অপসারণ, বাধ্যতামূলক অবসর, বেতনক্রমের নিম্নস্তরে অবনতকরণ ইত্যাদি।

২. স্বল্পমাত্রার সাজার মধ্যে রয়েছে তিরস্কার, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখা ইত্যাদি।

Email: dg.admin@acc.org.bd


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon