দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানি
গণশুনানি হচ্ছে সরকারী সেবা প্রত্যাশী জনগণ এবং সেবা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংযোগের একটি প্রক্রিয়া। গণশুনানিতে কমিশণের ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকেন। গণশুনানিতে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সরকারী পরিষেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির মূলে রয়েছে নাগরিক অসচেতনতা এবং কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং সরকারি সেবা প্রদানে সময়-সীমা অনুসরণ না করা। গণশুনানি স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশন ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩৫টি গণশুনানি এবং ০৫টি ফলো-আপ গণশুনানি অর্থাৎ ৪০টি গণশুনানি পরিচালনা করেছে। ২০১৪ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে গণশুনানির যাত্রা শুরু করে দুদক। গণশুনানিতে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং সমর্থন কমিশনকে গনশুনানি পরিচালনায় উৎসাহিত করে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংক, টিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা কারিগরি সহায়তা এবং কমিশনের নিজস্ব অর্থায়নে গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হলো নাগরিকের জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত ,জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদ (UNCAC) এর ১৩ অনুচ্ছেদে দুর্নীতি প্রতিরোধে সমাজের (সুশীল সমাজ, এনজিও, গণমাধ্যম ইত্যাদি) অংশগ্রহণ এবং তথ্য প্রাপ্তি ও রিপোর্টিং এর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তৃতীয়ত, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, ২০১২-এ নাগরিকের দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। চতুর্থত, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও নেপালে সরকারি সেবা প্রদানে গণশুনানি একটি কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অন্যতম প্রতিপাদ্য বিষয় হলো নাগরিকের ক্ষমতায়ন যা গণশুনানি ও অন্যান্য সামাজিক দায়বদ্ধতা পদ্ধতিসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব।
গণশুনানির উদ্দেশ্য
গণশুনানির তাত্ত্বিক কাঠামো
বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০০৪ এ বর্ণিত সামাজিক দায়বদ্ধতা কাঠামো গণশুনানির তাত্ত্বিক কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ কাঠামো অনুযায়ী সেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজন
গণশুনানির আইনগত কাঠামো
সংবিধানের বিধানসমূহ:
- সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০(২) “রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোন ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করতে সমর্থ হবে না............”।
- অনুচ্ছেদ ২১(২) “সকল সময়ে জনগনের সেবা করার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য”
তথ্যসূত্র-
যোগাযোগ-
-মেইল: dg.prevention@acc.org.bd