দুর্নীতির উটসমূল নির্মূল করার লক্ষ্যেই কমিশন ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে। সাধারণত সরকারি সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী সেবার বিনিময়ে ঘুষ বা উপঢৌকন দাবি করলে কমিশ্ন এর অনুমোদন ক্রমে ফাঁদ মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়, আ আলোকে ঘুষ দাবিকারী কর্মকর্তাদের হাতে-নাতে ধরতে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা সরকারি কাজে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি কোনো কাজের জন্য ঘুষ দাবি করলে ঘুষ প্রদানের পূর্বেই তথ্যটি দুদকের প্রধান কার্যালয় বা দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন অথবা নিকটস্থ দুদক কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করলে ঘুষ বা উৎকোচ গ্রহণকারীকে ফাঁদ পেতে হাতে-নাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নিম্নে ২০১৭ সালে ফঁদার ঘটনাসমূহ তদন্তে দুদকের কার্যক্রম প্রদান করা হয়েছে।
২০১৭ সালে ফাঁদ মামলার তদন্ত কার্যক্রম
২০১৭ সাল পর্যন্ত অনিষ্পন্ন তদন্ত |
২০১৭ সালে গৃহীত তদন্ত |
মোট তদন্ত |
২০১৭ সালে সম্পন্ন তদন্ত |
চার্জশিট দাখিল |
চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
০২ |
২৪ |
২৬ |
১৪ |
১৪ |
- |
ফাঁদ মামলার তদন্ত কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শতভাগ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
২০১৭ সালে ফাঁদের ঘটনাসমূহ তদন্তে দুদকের কার্যক্রমের চিত্র
বিগত চার বছরের তথা ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ফাঁদ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের একটি তুলনামূলক চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে।
সাল |
ফাঁদ মামলার সংখ্যা |
২০১৪ |
০৫ |
২০১৫ |
০৪ |
২০১৬ |
১৩ |
২০১৭ |
২৪ |
উপরোক্ত তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে। এমনকি এই সংখ্যা বিগত তিন বছরের মোট সংখ্যার চেয়েও বেশি। কমিশন ফাঁদ মামলাকে গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে ঘুষগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে দুর্নীতি নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ফাঁদ অভিযান ঘুষ গ্রহণকারীদের জন্য কঠিন পরিণতির এক কঠোর বার্তা। ফাঁদ মামলার মাধ্যমে কমিশন দীর্ঘদিনের রেন্ট-সিকিং সংস্কৃতি অবসান ঘটাতে চায়। এ বছর কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ৮টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে।
বিগত চার বছরের তথা ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের ফাঁদ মামলার তদন্ত কার্যক্রমের একটি তুলনামূলক চিত্র