Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd জুন ২০২৪

প্রশাসন, মানবসম্পদ ও অর্থ

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন

মানবসম্পদ হচ্ছে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। দুর্নীতি দমন কমিশন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, তাদের সক্ষমতার উন্নয়ন, কর্মপরিবেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নৈতিকতার কালোত্তীর্ণ মানদন্ড রক্ষার সকল কার্যক্রম প্রশাসন অনুবিভাগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করে থাকে। কমিশন তার মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। কমিশন মনে করে কর্মকর্তাদের দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা, মননশীলতা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তা উন্নয়নে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বিশ্বে সাইবার ক্রাইম, অর্থ পাচারসহ নতুন নতুন দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধ দমনে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কারণ সময়ের সাথে সাথে দুর্নীতির প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি দমন কমিশন পাঁচ বছর মেয়াদি যে কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে তার আলোকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং এর উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবেই বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

কমিশনের মানব ও আর্থিক সম্পদ ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে প্রশাসন অনুবিভাগ দু’টি শাখায় বিভক্ত-

  • প্রশাসন ও সংস্থাপন এবং
  • অর্থ ও হিসাব

প্রশাসন, সংস্থাপন এবং অর্থ অনুবিভাগের আওতাধীন বিষয়সমূহ হচ্ছেঃ

১। কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন, প্রেষণ ও ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা;

২। আইন অনুযায়ী দুদক কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলা নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাদের চাকুরির অবস্থা ও অন্যান্য বিষয়;

৩। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারী মনোনয়ন প্রস্তাব পেশ,

৪। কমিশনের বৈঠকের প্রাক্কালে কমিশনের সচিবকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান;

৫। অধীন কার্যালয়সমূহ বছরে কমপক্ষে দু’বার পরিদর্শন করা এবং কমিশন সচিবের নিকট প্রতিবেদন পেশ;

৬। কমিশনের সার্বিক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করা, গুদাম, আসবাবপত্র ও অবকাঠামো রক্ষাণাবেক্ষণ ও সরবরাহ;

৭। কমিশনের সকল শাখার জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সরবরাহ;

৮। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তবায়্ন;

৯। কমিশন কার্যালয়ের কর্মপরিবেশের উন্নয়ন ইত্যাদি;

 

প্রশাসন অনুবিভাগের পদক্ষেপ:

১। বিদ্যামান সাংগঠনিক কাঠামো যুগোপযোগী করণ

২। নতুন জনবল নিয়োগ

৩। প্রশিক্ষণ

৪। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার

            (ক) দুদক অভিযোগ কেন্দ্র (হটলাইন ১০৬)

            (খ) ই-নথি চালু

            (গ) ই-জিপির মাধ্যমে ক্রয়

            (ঘ) ই-রিক্রুটমেন্ট

 ৫। সশস্ত্র ইউনিট

৬। হাজতখানা স্থাপন

৭। আর্কাইভ তৈরি

৮। রেকর্ড রুম স্থাপন

৯। ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গঠন/কর্মবন্টন নির্দেশিকা প্রণয়ন

১০।IPMS software চালুকরণ

১১। বিভিন্ন নীতিমালা,আইন যুগোপযোগীকরণ

১২।ফরেনসিক ল্যাব চালুকরণ

 

সদর দপ্তর মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ে মানবসম্পদ বন্টন

কমিশনের বিদ্যমান জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রধান কার্যালয়, ৮টি বিভাগীয় কার্যালয় এবং ৩৬ টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর (সুপার নিউমারারি পদসহ ২১৪৬ জন) জন্য সরকার অনুমোদিত একটি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে, দুদকের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয়র ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মানব সম্পদ বন্টন তালিকা নিচের তালিকাতে দেখানো হয়েছে।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০৯৮ জন জনবলের বিবরণ

    

কমিশনের সার্বিক প্রশাসনিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম কমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের নিয়োগ, বদলি, তাদের কল্যাণ এবং চাকুরিবিধি মোতাবেক নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য আনুসাংঙ্গিক কাজ এই অনুবিভাগের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

 

কমিশনের বাজেট ব্যবস্থাপনা:

অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ন্যায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের বাজেটও চার্জড বাজেটের অন্তর্ভূক্ত। কমিশন বাৎসরিক যৌক্তিক চাহিদা নিরূপণ করে সরকারের নিকট বাজেট বরাদ্দ চেয়ে থাকে এবং কমিশনের চাহিদা মোতাবেক সরকারের বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থায়ন করে থাকে। সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কমিশনের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করে। বাজেট অনুমোদন হলে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল কর্তৃক দুদক হিসাব প্রাক-নিরীক্ষণ ছাড়া সরকারের কাছ থেকে কমিশনের কোনো পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় না। প্রশাসন অনুবিভাগ অর্থায়ন ও আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার কাজ তত্ত্বাবধান করে এবং সরকারি ক্রয়নীতির আওতায় ক্রয় পরিচালনা করে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কমিশনের সকল ক্রয় কার্যক্রম ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

(সূত্র: বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩)

Email: dg.admin@acc.org.bd