দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ১৭ ধারা অনুসারে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিরোধ, গবেষণা এবং গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এই অনুবিভাগকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করে। এই অনুবিভাগ বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক প্রোগ্রাম ডিজাইন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আইনগত প্রতিশ্রুতি পূরণ করে থাকে। এই অনুবিভাগ দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন কাজের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নিরুপণ করে থাকে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিরোধ গবেষণা ও গণসচেতনতা কার্যাদি করে থাকে। এই কাজটি সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই করা হয়। এটা দুর্নীতি প্রতিরোধ অঙ্গীকার পূরণে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে থাকে। কার্যক্রমগুলোর মধ্যে জনগণকে সচেতন করা, দুর্নীতির খারাপ দিকগুলো তুলে ধরা এবং সততা সংঘ গঠন এবং তার কর্মকান্ড পরিচালনা অন্যতম। এই প্রতিরোধ, গবেষণা ও গণসচেতনতা কার্যক্রম একজন মহাপরিচালকের অধীন সম্পন্ন হয়।
এই অনুবিভাগে মূল কার্যাদিসমূহ :
এই সমস্ত উদ্যোগগুলো দুদক আইন ২০০৪ এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র ২০১২ মোতাবেক করা হয়ে থাকে। প্রতিরোধ অনুবিভাগ সিভিল সোসাইটি ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সাথে একত্রিত হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে। দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। প্রধানতম পদ্ধতি হলো সরকারি ও বেসরকারি অফিসসমূহে দুর্নীতি কমিয়ে আনা। এছাড়া নীতি, বিধি ও পদ্ধতি এগুলো সংস্কারের মাধ্যমেও দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যায় এবং নীতি, বিধি ও পদ্ধতির দূর্বল দিকগুলো সংস্কার ও উন্নয়নের বিষয়ের নানাদিক নিয়ে সুপারিশ করা হয়।
প্রতিরোধ কর্মকৌশল প্রধানত নিম্নরুপ:
দুর্নীতি বিরোধ সংস্কৃতি তৈরি করার লক্ষ্যে:
১. বিদ্যমান দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমের পুন:মূল্যায়ন
২. নতুন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও বিদ্যমান প্রতিরোধ কমিটির দক্ষতার উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ।
৩. নৈতিকতা বৃদ্ধির জন্য সততা সংঘকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি:
এই কমিটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য করা হয়েছে। এছাড়াও সংগঠনসমূহের উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখাসহ
স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়োজিতকরণ :
শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন :
প্রতিরোধ অনুবিভাগ দুপ্রক ও সততা সংঘের সহযোগিতায় কর্মশালা, সেমিনার আয়োজন করে থাকে। এগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসংযোগ বাড়ানো ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক র্যালী:
দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কর্মশালা:
দুর্নীতির খারাপ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং কর্মশালায় শিক্ষক সাংবাদিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।
দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা:
১। দুর্নীতির উৎসে যান:
আমরা প্রধান সামাজিক মিথষ্ক্রিয়ার ক্ষেত্রÑসরকারি কর্মকর্তা-নাগরিকদের মধ্যকার সম্পর্কÑচিহ্নিত করেছি, যেখানে দুর্নীতির বিস্তার ব্যাপক, তাই নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করার সম্ভাবনাও উঁচু। এই নীতির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত প্রচারণায় দুই-ধরনের কার্যক্রম চালানো হবে, যার বার্তা অপরাধ সংঘটনকারী ও অভিযোগের শিকার উভয়ের কাছেই পৌঁছবে। উৎসে যান প্রচারণাটি দুর্নীতিবাজদেরকে দুর্নীতির নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেবে, এবং একইসাথে দুর্নীতির “শিকার” ব্যক্তিদের এই মর্মে সচেতন ও সাহসী করবে যে কেন এবং কিভাবে দুর্নীতি সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে হবে। উদ্দিষ্ট বার্তাসমূহ ও প্রচারণা যান দুর্নীতির উৎসস্থলে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তির কাছে বার্তাটি পৌঁছে দেবে।
২। এটিকে ব্যক্তিগত আবেদনের আকারে তুলে ধরুন:
সব প্রচারণাতে যোগাযোগ বার্তাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও আবেদন সৃষ্টিকারী বার্তাগুলোকে আলাদা করা হবে, যাতে করে দুর্নীতি কিভাবে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে সেটি কোন উদ্দিষ্ট গ্রুপের, যেমন-গ্রামবাসী, সরকারি সেবাগ্রহীতা নাগরিকগণ প্রভৃতির, উদ্দেশ্যে সরাসরি তুলে ধরা যায়। মানুষের নিত্যকার জীবন-যাপনে দুর্নীতির অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাবগুলো তুলে ধরা হবে যেগুলো প্রায়শই অপ্রকাশিত থাকে।
২। সর্বজনীন বার্তা :
দুর্নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করুন। দুর্নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করা সঙ্গতিপূর্ণভাবে সহজ ও নিরাপদ করে তোলা হবে। কিভাবে ও কোথায় দুর্নীতি সম্পর্কে অভিযোগ করতে হবে এবং যারা অভিযোগ করবে তাদের সুরক্ষা সম্পর্কে সকল তথ্য ও পদ্ধতি একটি বার্তায় থাকবে।
৩। সর্বোচ্চ প্রচারণা ও ব্যয় সাশ্রয়ের অগ্রাধিকার নির্ধারণ :
কোন কাজের ক্ষেত্রে সচেতনতা একটি পূর্বশর্ত। বেশিরভাগ লোক দুর্নীতি দমন প্রচেষ্টা সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায়, উচ্চ-মানসম্পন্ন বার্তা প্রদান করে যোগাযোগ কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বোচ্চ প্রচারের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আমরা ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেবো (যেমন- প্রতি ব্যক্তির নিকট বার্তা পৌঁছাতে তুলনামূলক কম খরচ করা) যার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন-সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য প্রতিরোধ শাখা-কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণে, ব্যক্তি-প্রতি খরচ যৌক্তিকভাবেই বেশি হবে; কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের জন্য সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে প্রচারকদের লক্ষ্যস্থিত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ানো।
৪। অংশীদারত্ব ব্যবহার :
লক্ষ্য পূরণে এবং জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ও সুনির্দিষ্ট, অগ্রাধিকার-যুক্ত-বার্তার মাধ্যমে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর নিকট পৌঁছাতে যেখানেই সম্ভব গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, ধর্মীয় গোষ্ঠী, ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাসমূহের সাথে অংশীদারত্বকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করুন।
প্রচার-প্রচারণার মূল নীতিসমূহ :
১। সাফল্যের গল্পগুলো প্রচারে সক্রিয় হউন :
দুদকের সাফল্যগুলো গণমাধ্যম ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে বিনিময় করার ক্ষেত্রে আমরা সক্রিয় থাকবো। দুদকের কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ জনগণের জানাশোনার ঘাটতি পূরণে এসব প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এছাড়া একটি সক্রিয় অবস্থান দুদকের ভাবমূর্তি ও জনগণের মাঝে আস্থা বাড়াবে।
২। পদ্ধতিগত তথ্য বিনিময় করার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে সামলানো :
আদালতে বিবেচনাধীন এবং গোপনীয় নয় এরূপ চলতি মামলাসমূহ সংক্রান্ত তথ্য গণমাধ্যমের সাথে বিনিময় করলে দুদকের কাজে সবার বাড়তি মনোযোগ নিয়ে আসতে পারে; এছাড়া, এই উদ্যোগ কোন কিছু ফাঁস করতে বা “অনির্ভরযোগ্য” তথ্য প্রকাশ থেকে গণমাধ্যমের মনোযোগ সরিয়ে আনতে পারে। দুদকের তথ্য প্রকাশ নীতির আলোকে তথ্য প্রকাশ/বিনিময় করা হবে, যাতে চলমান তদন্তের গোপনীয়তা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
৩। সকল প্রচারণা উপকরণ সরাসরি সংশ্লিষ্টদের এবং উদ্দিষ্ট গ্রুপের অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নিয়ে করুন :
সকল প্রচারণা উপকরণ উদ্দিষ্ট গ্রুপসমূহের আগ্রহের দিকে লক্ষ্য রেখে সরাসরি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা হবে। আমরা “সবার জন্য একই রকম” অথবা “সকল ব্যামোর একই দাওয়াই” ধরনের বার্তা পরিহার করবো।
৪। দুদক-কে একটি শক্তিশালী, সংবেদনশীল ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত করানো :
দুদকের ভাবমূর্তি নিয়ে জনমনে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে, যা পরিচিতি প্রচারণার মাধ্যমে সংশোধন করা যাবে। এ ধরনের প্রচারণায় একটি শক্তিশালী, সংবেদনশীল ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের বৈশিষ্ট্যসমূহ তুলে ধরা হবে। এ জাতীয় প্রচারণায় দুদক ও তার সাফল্য সম্পর্কে ইতিবাচক, “বাস্তবিক” গল্পসমূহ বলার জন্য গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মূলনীতিসমূহ:
১। সফল মামলাসমূহের ফলাফলসহ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা:
সরকারি কর্মকর্তারা যাতে জানতে পারে যে, মামলার ফলাফল আমাদের তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার ফলেই এসেছেÑএটি আমরা নিশ্চিত করবো।
২। দুর্নীতির দায়ে শাস্তি ও জরিমানার বিষয়টি বেশি করে প্রচার করা :
জরিমানা, জেল, সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারি পেনশনসহ সরকার থেকে পাওয়া আর্থিক সুবিধা হারানো প্রভৃতি শাস্তি বিভিন্ন যথাযথ প্রচার উপকরণে ও দুদকের ওয়েবসাইটে ফলাও করে প্রচার করা হবে।
কৌশলসমূহ :
আমাদের লক্ষ্য পূরণে আমরা কয়েকটি কৌশল চিহ্নিত করেছি:
(১) কমিউনিটি-ভিত্তিক দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি
(২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ
(৩) গণমাধ্যম
(৪) জনসম্পৃক্ত প্রকাশ্য অনুষ্ঠান
(৫) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
(৬) প্রকাশনা
(৭) টেলিযোগাযোগ
(৮) ওয়েব
(৯) সামাজিক যোগাযোগ
(১০) শিক্ষা
শ্রোতৃমন্ডলী, বার্তা ও কার্যক্রম :
আমাদের যোগাযোগ পরিকল্পনার খুঁটিনাটি বাস্তবায়নে আমরা শ্রোতৃমন্ডলী, সরাসরি বার্তা, এবং যথাযথ কার্যক্রম চিহ্নিত করেছি। এছাড়া প্রতিটি কার্যকলাপ সরাসরি মূল উদ্দেশ্যের সাথে সম্পর্কিত, এবং প্রত্যেকটির জন্য পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন সূচক রয়েছে।
এই ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন প্রক্রিয়া অগ্রাধিকার-ভিত্তিক শ্রোতৃমন্ডলী চিহ্নিতকরণের প্রাথমিক ধাপের উপর ভিত্তি করে হয়েছে। জনগণের মতামত-ভিত্তিক গবেষণা, পূর্ব অভিজ্ঞতা, কোথায় ও কেন দুর্নীতি ঘটে সে ধারণা, এবং যোগাযোগ কার্যক্রম কোথায় সবচেয়ে গঠনমূলক হবে সেটি মূল্যায়নসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে মূল শ্রোতৃমন্ডলী নির্বাচন করা হয়েছে।
দুর্নীতি নিয়ে উদ্দিষ্ট প্রত্যেক শ্রোতৃমন্ডলীর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, বিবেচ্য বিষয় ও উদ্বেগ থাকায়, প্রতিটি উদ্দিষ্ট গ্রুপের কাছে বিশেষভাবে পৌঁছানোর মতো করে যোগাযোগ বার্তাসমূহ প্রণীত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু গ্রুপ নাগরিক কর্তব্যের আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হবে না, কিন্তু বিশেষ কোন বার্তার প্রতি সাড়া দিতে পারে।
উদ্দিষ্ট গ্রুপ চিহ্নিত ও বার্তাসমূহ তৈরি করার পর, প্রতিটি শ্রেণির জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। এসব কার্যক্রম নমনীয় হতে পারে কিন্তু সেগুলো প্রচারণার পরিকল্পনা করা ও উদ্দিষ্ট গ্রুপের কাছে সবচেয়ে কার্যকরভাবে পৌঁছানোর জন্য যোগাযোগ বার্তা তৈরিতে ভালো নির্দেশনা হতে পারে।
নিচের সারণিটিতে এগারটি প্রাথমিক উদ্দিষ্ট গ্রুপ এবং প্রতিটি গ্রুপের জন্য উপযুক্ত কার্যক্রমের তালিকা প্রদান করা হয়েছে। গ্রুপগুলোর প্রতিটির কার্যক্রম অনুসরণ করার জন্য প্রতিটি গ্রুপের পারফরমেন্স সূচক দেওয়া আছে। সারণি থেকে আমরা সহজেই আমাদের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের জন্য বাৎসরিক কর্ম-পরিকল্পনা ও বাজেট তৈরি করতে পারি।
সাফল্যের পরিমাপ বা পারফরমেন্স সূচক
যোগাযোগ কৌশলটির সফল বাস্তবায়ন পরিমাপ করা সত্যিই কষ্টকর। নিয়মিত ও সঙ্গতিপূর্ণ পারফরমেন্স উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে যোগাযোগ কৌশলটির কার্যক্রম অনুসরণ করা সম্ভব হবে। এবং এটি ব্যবহার করে কত লোকের কাছে পৌঁছানো গেছে, উদ্দিষ্ট গ্রুপগুলোর সাড়া কেমন পাওয়া গেছে ও কৌশলটি বাস্তবায়নের ফলাফলের চিত্র পাওয়া যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটি কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রাপ্ত মতামতের আলোকে নিজেদের পরিবর্তন করার ও কার্যক্রম সমন্বয় করার সুযোগ প্রদান করবে।
যোগাযোগ কার্যক্রমের মূল সূচকগুলোর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
দুর্নীতি প্রতিরোধ :
বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও যোগাযোগভিত্তিক দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক বার্তা তৈরি ও জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এটা জনগণের মাঝে দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমের বার্তা পৌছে দেয়। এটার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন বাংলা তৈরি করে জনগনকে এবং আমাদের অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রদানের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
দুর্নীতি দমন নিউজ লেটার:
দুর্নীতি প্রতিরোধ অনুবিভাগ এর ‘‘ দুদক দর্পন ’’ নামক ত্রৈমাসিক নিউজ লেটার তৈরি উদ্দেশ্যে জনগনকে বার্তা পৌছে দেয়া এবং এ কার্যক্রমে জোরদার করার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে জনগণের সাথে সহঅবস্থান গ্রহণ করা।
গণশিক্ষা কার্যক্রম:
দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শিক্ষা নীতিসমূহ:
দুর্নীতির উৎস উদঘাটন: দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারী কর্মকর্তা ও নাগরিকের মধ্যে আন্ত:সম্পর্ক খুঁজে বের করে যেখানে দুর্নীতির আশংকা থাকে সেখানে দুর্নীতি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সততা সংঘ: যুবকদের জন্য দুর্নীতি দমনের প্লাটফর্ম। যুবসমাজ দেশের মধ্যে দুর্নীতি মোকাবেলার সক্ষমতা রাখে। তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সচেতনতা আংশিকভাবে সমাজে দুর্নীতি র্নিমূলে সাহয্য করে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক রুপদানের জন্য যুবসমাজের শক্তিকে কমিশন মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনি থেকে দশম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠন করেন।
প্রত্যেক সততা সংঘে এগার সদস্যের সমন্বয়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের সততা সংঘের সাধারণ সদস্য হওয়ার অনুমতি পায়। সততা সংঘের কার্যক্রমকে দিক নিদের্শনা প্রদানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমন্বয়ে ৩-৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।
সততা সংঘ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগি সংগঠণ হিসেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি ও ন্যায়পরায়নতা সৃষ্টিতে যুবসমাজকে সাহায্য করে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগি হিসেবে সততা সংঘ সেমিনার, আলোচনা সভা, নাটক, বির্তক, প্রবন্ধ লিখনসহ বিভিন্ন শহর ও জেলার স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। দুর্নীতি দমন কমিশন সততা সংঘের সদস্যদের মধ্যে ‘‘সততাই সর্বোকৃষ্ট পন্থা’’ এবং ‘‘দুর্নীতি করব না, সইবোনা, মানবো না ’’ বানী সম্বলিত হাজার হাজার লিফলেট সরবরাহ করে।
প্রেষণামূলক কার্যক্রম:
দুর্নীতি দমন কমিশন কিছু প্রেষণামূলক কার্যক্রমও করে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে দুর্নীতি বিরোধী বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার বানী সম্বলিত ক্ষুদে বার্তা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করা হয়।
দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এবং পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বানিজ্যিক ব্যাংকের সহায়তায় কিছু, বিলবোর্ড লাগানো হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ ও আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস দুর্নীতি বিরোধী বানী সম্বলিত টি-শার্ট দিন মজুরদের সরবরাহ করা হয়।
রাজধানীসহ সারাদেশে হাজার হাজার পোস্টার লাগানো হয়। পোস্টারে বানী থাকে ‘‘দুর্নীতিকে না বলুন’’, “ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে” এবং ‘‘ দুর্নীতি প্রতিরোধ করুণ, দেশকে রক্ষা করুণ’’।
কিছু দুর্নীতি বিরোধী পোষ্টার পুলিশ স্টেশনে লাগানো হয় যাতে নাগরিকরা তাদের অধিকার সম্পর্কে অবগত হয় এবং কর্তব্যরত অফিসাররা অবগত হন যে তারা জনসাধারণকে সেবা দিতে বাধ্য।
আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস:
দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর আর্ন্তজাতির দুর্নীতি বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। রাজধানীসহ সারা দেশে ২০১৫ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহায়তায় সকালে র্যালী ও মানববন্ধন করা হয়।
দুর্নীতি বিরোধী অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি:
১। দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনে সামাজিক শক্তির অংশগ্রহণ
বিভাগ-ভিত্তিক ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও মহানগর পর্যায়ের দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপক) এর সংখ্যা
২। ‘সততা সংঘ’ তরুণদের দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ
বিভাগ ভিত্তিক সততা সংঘের পরিসংখ্যান
৩। উত্তম চর্চার বিকাশে দুদকের নতুন সংযোজন “সততা ষ্টোর”
বিভাগ ভিত্তিক সততা ষ্টোরের পরিসংখ্যান
Email: dg.prevention@acc.org.bd
**(তথ্য সূত্র: বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০২৩)