Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লিগ্যাল এন্ড প্রসিকিউশন

২১ শে নভেম্বর ২০০৪ বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তার আগে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অধীনে বিচারিক আদালত ও মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগে মামলা পরিচালনা/মনিটর করা, অনুসন্ধান/তদন্ত পর্যায়ে আইনী মতামত প্রদান করা সহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন পরিচালক (আইন)। ব্যুরোর কোন আলাদা প্রসিকিউশন ইউনিট ছিলোনা। সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরগণ ব্যুরোর মামলা সমূহ পরিচালনা করতেন এবং তাদেরকে সহযোগিতা করত ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শকগণ যারা মামলার সাক্ষী উপস্থাপন সহ মামলার আলামত ও কেস ডকেট (সিডি) সংরক্ষন করত। একইভাবে উচ্চ আদালতে (মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগে) মামলা সমূহ পরিচালনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং এবং এর্টনী জেনারেল অফিসের উপর নির্ভর করতে হতো। উচ্চ আদালতে ব্যুরোর মামলা সমূহ এর্টনী জেনারেল, অতিরিক্ত এর্টনী জেনারেল ও ডেপুটি এর্টনী জেনারেল দ্বারা পরিচালনা করা হত।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ৩৩(১) ধারা অনুযায়ী কমিশন কর্তৃক তদন্তকৃত এবং স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা সমূহ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রসিকিউটর এর সমন্বয়ে কমিশনের অধীন নিজস্ব একটি স্থায়ী প্রসিকিউশন ইউনিট থাকবে। ৩৩(৩) ধারা মতে কমিশনের নিজস্ব প্রসিকিউটর নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কমিশন কর্তৃক অস্থায়ী ভিত্তিতে  নিযুক্ত বা অনুমোদিত আইনজীবীগণ এই আইনের মামলা সমূহ পরিচালনা করবে। যেহেতু কমিশন কর্তৃক এখনও পর্যন্ত স্থায়ী প্রসিকিউটর নিয়োগ দান করা হয়নি তাই বর্তমানে বিচারিক আদালত এবং মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগে কমিশন কর্তৃক অস্থায়ী ভাবে নিয়োগকৃত বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর ও প্যানেল আইনজীবীগণ কমিশনের মামলা সমূহ পরিচালনা করেন। বিজ্ঞ আইনজীবীগণের নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে তাদের একাডেমিক রেকর্ড, আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিসের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, আন্তরিকতা এবং জ্ঞানের গভীরতা বিবেচনা করেই নিয়োগ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞ আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দানের পরও মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে বিষয়টি আমলে নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে প্রয়োজনে তাদের নিয়োগ বাতিল ও করা হয়।
কমিশন বর্তমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী কমিশনের লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন অনুবিভাগের প্রধান মহাপরিচালক (লিগ্যাল এন্ড প্রসিকিউশন) যার অধীনে ০২জন পরিচালক, ০৪জন উপরিচালক ও সহকারী পরিচালক সহ বেশ কিছু সংখ্যক অফিসার ও ষ্টাফ কর্মরত আছেন। যার মধ্যে মহাপরিচালকের দপ্তরে ০৪জন, পরিচালক (লিগ্যাল) এর অধীনে ০৮জন, পরিচালক (প্রসিকিউশন) এর অধীনে ০৭ জন, ২১ জন কোর্ট পরিদর্শক, ৪২জন সহকারী পরিদর্শক এবং ২১ জন কনষ্টবল আছে। বর্তমানে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপীল বিভাগে মামলা পরিচালনার জন্য ৫৬ জন বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবী অস্থায়ীভাবে নিয়োজিত আছেন যারা রীট, ফৌজদারী বিবিধ, ফৌজদারী আপীল এবং ফৌজদারী রিভিশন মামলা সমূহ পরিচালনা করে থাকেন। একইভাবে ঢাকাতে অবস্থিত ১৩টি স্পেশাল জজ জজ আদালতে ১৪জন বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া আছে। ঢাকার বাইরে ২২ টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের অধীনে ৬৪টি জেলায় মামলার সংখ্যানুযায়ী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদেরকে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপরিচালকগণ মনিটর করে থাকেন। ক্ষেত্র বিশেষে প্রধান কার্যালয় হতেও তাদের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করা হয়।
বিচারিক আদালত এবং মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা পরিচালনার জন্য কমিশনের নির্দেশানুযায়ী আইনজীবী নিয়োগের কাজটি কমিশনের লিগ্যাল এন্ড প্রসিকিউশন অনুবিভাগ থেকে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর এবং প্যানেল আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে তত্তাবধান এবং মনিটরিং কাজটিও সরাসরি এই অনুবিভাগ থেকে করা হয়ে থাকে। কমিশন গঠিত হওয়ার পর থেকেই বিলুপ্ত ব্যুরোর প্রচুর সংখ্যক অনিষ্পত্তিকৃত মামলা নিয়ে কাজ শুরু করে। সে ক্ষেত্রে পুরাতন এবং দীর্য় দিন ধরে চলমান মামলা সমূহ নিষ্পত্তি করা ছিলো কমিশনের অগ্রাধিকার যা এখও  বলবৎ আছে। সীমিত লোকবল ও লজিষ্টিক সহায়তা সত্ত্বেও লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন অনুবিভাগ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।  

Email: dg.legal@acc.org.bd