গ্রেফতারের আইনি ভিত্তি
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ (সংশোধনী ২০১৬) এর ২০(৩) ধারা অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২০০৪ সালের দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধের অনুসন্ধান বা তদন্ত বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। ২০১৭ সালে তদন্তের স্বার্থে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী/তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন মামলায় ১৮২ জন আসামিকে অনুসন্ধান/তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতদের সকল প্রকার আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। কমিশন কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা, আইনের প্রতি আসামিদের অবজ্ঞা, দুর্নীতিবিরোধী গণসচেতনতা এবং দুর্নীতির তীব্রতা কমাতেই গ্রেফতার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া কমিশন ঘুষ গ্রহণের আগাম সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ প্রক্রিয়ার ২০১৭ সালে ঘুষ গ্রহণকালে হাতে নাতে ফাঁদ পেতে ঘুষের টাকাসহ ২৪টি ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতার করেছে।
দুর্নীতির উৎসমূল হিসেবে ঘুষ বন্ধের অন্যতম উপায় হচ্ছে ঘুষগ্রহণকারী কর্মকর্তার-কর্মচারীদের ঘুষের অর্থসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা। সাধারণত ফাঁদ মামলা পরিচালনার মাধ্যমেই এ জাতীয় অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ২০১৭ সালের শুরুতেই কমিশন ঘোষণা করেছিল, ২০১৭ সাল হবে ঘুষগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য আতঙ্কের বছর। কমিশন এ ঘোষণা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। যেখানে ২০১৬ সালে ১৩ টি ফাঁদ মামলা হয়েছিলো, সেখান ২০১৭ সালে ২৪টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে ঘুষখোর কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের পরিসংখ্যান
গ্রেফতারকৃতদের পেশা/পরিচিতি |
সংখ্যা |
ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারী |
২৫ |
সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী |
৮৪ |
জনপ্রতিনিধি |
১৩ |
নন-ব্যাংকিং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী |
১০ |
ব্যবসায়ী |
৫০ |
মোট |
১৮২ |
গ্রেফতারকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের পরিসংখ্যানের চিত্র
২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে (১৬/০৯/২০১৮ পর্যন্ত) মোট গ্রেফতারের পরিসংখ্যান
সাল |
গ্রেফতারের সংখ্যা |
২০১৬ |
৩৮৮ |
২০১৭ |
১৮২ |
২০১৮ (১৬/০৯/২০১৮ পর্যন্ত) |
৫৬ |
মোট |
৬২৭ |