৩। দুর্নীতি দমন কমিশন তথ্য অবমুক্তকরণ নীতিমালা-২০১১
দুদকে RTI কার্যকর করা
দুর্নীতি দমন কমিশন তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর সাথে সঙ্গতি রেখে কমিশন থেকে অবাধ তথ্য প্রবাহের ধারা সহজতর করতে ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ‘তথ্য প্রকাশ নির্দেশনা - ২০১১’ অনুমোদন করে। কমিশনের গঠন, কাঠামো এবংকার্যμম নিয়ে প্রকাশিত কোন স্মারক, বই, তথ্য-উপাত্ত, লগ বই, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, চিঠি, প্রতিবেদন, আর্থিক বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, অডিও, ভিডিও ইত্যাদিকে প্রকাশিত নীতিমালায় ‘তথ্য’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
কমিশনের তথ্যকে এই নীতিমালায় চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে:
ক) স্বতঃস্ফূর্ত তথ্য (কমিশন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করবে);
খ) চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ;
গ) চাহিদা অনুযায়ী আংশিক তথ্য সরবরাহ; এবং
ঘ) অন্যান্য তথ্য, যা প্রকাশ বা প্রদান করা বাধ্যতামূলক নয়।
যেকোনো নাগরিক একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে বা সাদা কাগজে কমিশনের কাছে তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং আবেদন পেশের ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে অনুরোধের উত্তর দিতে হবে। বৈধ কারণ ছাড়া তথ্য প্রদান করা না হলে তা অসদাচারণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) কার্যবিধি ২০০৮ অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা/ইউনিটঃ
সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা, বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাগরিকের অনুরোধের ধরন অনুযায়ী তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবেন।