আজ সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে নিরীক্ষা আপত্তি ও দুর্নীতির সংযোগ , শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপর কমিশনের প্রথম গবেষণা কার্যক্রমের বিষয়ে এক সভায় দুদক চেয়ারম্যান গবেষকদের প্রতি বস্তনিষ্ঠ গবেষণার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এ সকল সংস্থার কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত প্রতিটি অডিট আপত্তিসহ সামগ্রিক অডিট কার্যক্রমে যে সকল দুর্নীতি বা অনিয়মের উৎস উন্মোচিত হয় অথবা যে সকল দুর্নীতির উৎস অজানা থেকে যায় , এগুলো ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনসহ অন্যান্য রিসার্চ টুলস ও টেকনিক ব্যবহার করে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির উৎস উন্মোচন করতে হবে এবং তা প্রতিরোধ ও দমনে সুনির্দিষ্ট গবেষণালব্ধ সুপারিশ প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে না। বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা , পদ্ধতিগত সংস্কার, জনগণের অর্ন্তভুক্তিমূলক অভিগমন এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে । কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুমুখী পদ্ধতি পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, অডিট স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের একটি অন্যতম মাধ্যম । তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য অনেকেই অডিটিং নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মেরও অভিযোগ করেন।
তাই কমিশনের এই গবেষণাটি হতে হবে নির্মোহ, বস্তুনিষ্ঠ এবং সকল প্রকার দুর্নীতির উৎস উন্মোচন এবং তা প্রতিরোধ ও দমনের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত দলিল।
সভায় গবেষক ড. মোঃ নুরুজ্জামান তার গবেষণার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য যে , এই প্রথম দুদক গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেয় এবং গবেষক গত মার্চ মাস থেকে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে।
এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ, মহাপরিচালক(মানিলন্ডারিং) মোঃ আতিকুর রহমান খান, গবেষক ড.মোঃ নুরুজ্জামান প্রমুখ।