আজ (০৭/০৩/২০১৯) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে “দুর্নীতি দমন কমিশন শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের” অংশ হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের শুধু ভূমি ব্যবস্থাপনা নয়, তাদের প্রকৌশল, ব্যাংক, কর, কাস্টমস, মানিলন্ডারিংসহ সকল সেক্টরভিত্তিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে কমিশনের কর্মকর্তাগণ প্রতিটি সেক্টরের দুর্নীতি উৎস চিহ্নিত করে তা দমনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। তিনি বলেন অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কর্মকর্তাদের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি হতে হয়। তাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমের নিজেদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দক্ষতাকে শানিত করতে হবে।
দুদক সচিব বলেন, কমিশন মামলা দায়েরের আগেই অনুসন্ধান করে। তাই অনুসন্ধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান পর্যায়েই আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় দালিলিক প্রমাণাদি সংগ্রহ করা উচিত। এতে তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পেতে পারে এবং সময়াবদ্ধ কালে তদন্ত সম্পন্ন করার পথ সুগম হতে পারে। তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলা নির্ধারিত সময়ে তদন্ত সম্পন্ন করা জরুরি। এতে কমিশনের কার্যক্রম আরো দৃশ্যমান হবে। তবে একটা কথা কর্মকর্তাদের স্মরণ রাখতে হবে, দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান বা তদন্ত পর্যায়ে কোনো মানুষ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন। তিনি বলেন মামলার আলামত, স্বাক্ষী এবং অন্যান্য তথ্যাদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা গেলে কমিশনের মামলায় সাজার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব।
৩০ জন কর্মকর্তা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় তাদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন দুদক সচিব। এসময় কমিশনের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ, প্রশাসন অনুবিভাগের পরিচালক মোঃ জালাল সাইফুর রহমানসহ প্রশিক্ষণ শাখার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।